ছবি: সংগৃহীত 


খাল কেটে কুমিরকে আমন্ত্রণ জানালে সে কি কখনো মানা করবে?
মাস্ক না পড়ে বা পড়ার মতো না পড়ে ঘুরে বেড়ালে ধূলাবালি তো আক্রমণ করবেই।আবার করোনা আসার পর এখনতো আবার এক মাস্কই ধুয়ে,রোদে শুকিয়ে কতবারই যে ব্যবহার হচ্ছে তা আর না বলি।কত ট্রল হলো,তাতে কমেন্ট হলো "বাঙালি!!বসতে দিলে শুইতে চায়"।তাও শুধরালো না; না শুধরানোর দশাতে ব্ল্যাক ফাংগাস ইনফেকশনও যুক্ত হলো।

মিউকোমাইকোসিস (পূর্বে জাইগমাইকোসিস নামে পরিচিত) হ'ল একটি মারাত্মক তবে বিরল ছত্রাকের সংক্রমণ যা মিউক্রোমাইসেটস নামে একদল মোল্ড (বাংলায় ছাঁচ জাতীয়)দ্বারা সৃষ্ট। অর্থাৎ এই ফাংগাস দ্বারা ইনফেশনই "ব্ল্যাক ফাংগাস" নামে পরিচিত। এগুলো মূলত পরিবেশেই বিভিন্ন জায়গা জুড়ে থাকে। সংক্রমণটি মূলত তাদেরই হয় যাদের বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা রয়েছে অর্থাৎ যাদের শরীরে জীবাণু এবং অসুস্থতার বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা কম রয়েছে।

তবে ভারতে এই রোগের হার এত ছিল না; এই ব্ল্যাক ফাংগাস নামে কিছু আছে তাও অনেকে জানতো না। কিন্তু করোনার আগমনের পর থেকেই ছোট থেকে ছোট সমস্যাও বড় আকারে দেখা দিচ্ছে। যারা করোনা রোগে আক্রান্ত হয়েছে তাদের অন্যান্য সুস্থ মানুষের তুলনায় এই ব্ল্যাক ফাংগাসও খুব সহজেই আক্রমণ করতে পারবে।কেননা রোগ হলে শরীরের ইমিউন সিস্টেম সহজেই নড়বড়ে হয়ে যায়।

"ডায়াবেটিস যাদের আছে তাদেরও এর থেকে রক্ষে পাওয়ার সম্ভাবনা কম"- এটি বিভিন্ন পরীক্ষায় বা গবেষণায় পাওয়া গিয়েছে।এছাড়াও ক্যান্সার, HIV রোগীদেরও আক্রমণ করতে পারে।

Centers for Disease Control and Prevention (CDC) অনুসারে যাদের ইমিউন সিস্টেম দুর্বল তারাই এই ব্ল্যাক ফাংগাসের শিকার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

অন্যান্য রোগের মতো এরও কিছু লক্ষণ রয়েছে। এটি যেহেতু পরিবেশেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে, তাই শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমেই এর স্পোরগুলো শরীরে আগে প্রবেশ করতে পারে। এ থেকে কিছুটা ধারণা পাওয়া যায়, যাদের সাইনাস বা ফুসফুস সংক্রান্ত সমস্যা আছে তাদের যত্ন বেশি রাখতে হবে। অর্থাৎ শরীরের কোন অংশের উপর এই ফাংগাসের আক্রমণ বেশি হবে সেটির উপর নির্ভর করবে এর চিকিৎসা। এটি গুরুতর হলে ব্রেইনেও আক্রমণ করতে পারে।

১৪ মে,২০২১ইং তারিখে ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন যে "এটি ত্বকের মাধ্যমে ছড়াতে পারে,পরবর্তীতে চোখ,নাকের মাধ্যমেও শরীরে প্রবেশ করতে পারে। এছাড়াও
১. বুকে ব্যথা
২. ডাবল ভিশন বা যেকোনো কিছু দুটো করে দেখা
৩. শ্বাস -প্রশ্বাসে সমস্যা
৪. নাক দিয়ে কালো তরলজাত বের হওয়া
৫. মুখের ভিতর কালো কালো হওয়া
৬. মুখে কালো কালো ছোপ পড়ে যাওয়া

ইত্যাদিও দেখা দিতে পারে। সাথে সাথেই এর চিকিৎসা শুরু করা উচিত নতুবা রোগী গুরুতর অবস্থাতেও চলে যেতে পারে।

এজন্য আমাদের পরিষ্কার -পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে, বিশেষ মাস্ক ব্যবহারে সচেতন হতে হবে।ওয়ান টাইম মাস্ক ধুয়ে রোদে শুকিয়ে পুনরায় ৩/৪ বার ব্যবহার করা বন্ধ করতে হবে। ভারতে এই ফাংগাসের আক্রমণ বেড়েছে বলে সেখানেই সীমাবদ্ধ থাকবে এটা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলেন।

আরও পড়ুন:



Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন