ছবিঃ ইন্টারনেট |
প্রচন্ড গরমে তৃষ্ণা মেটাতে,তৃপ্তি দিতে কিছু ফল রয়েছে যা আমাদের শরীরে অন্যান্য দিক দিয়েও সাহায্য করে যাচ্ছে। সাইট্রাস জাতীয় ফল মাল্টাতে আছে, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ফসফরাস, এবং চর্বিমুক্ত ক্যালরি।
মাল্টা হলো খুবই সহজপাচ্য খাবার। খুব সহজেই এটা হজম করা যায়। এটি লিভারকে ঠান্ডা রাখতেও সাহায্য করে থাকে। লিভারের কার্যক্ষমতাকে স্বাভাবিক রাখতেও সাহায্য করে মালটা।
এতে উপস্থিত পটাশিয়াম ইকেট্রোলাইট ব্যালেন্স বজায় রাখে এবং কার্ডিওভাস্কুলার সিস্টেম ভালো রাখতে সহায়তা করে।
শরীরকে ডি-হাইড্রেডের হাত থেকেও রক্ষা করবে। মাল্টায় ভিটামিনের পাশাপাশি ফলিক এসিড রয়েছে। যা শরীরের মাংসপেশিকে অনেক বেশি মজবুত করে। ফলে হাড়ের ঘনত্ব ভালো থাকে।
এতে থাকা খনিজ লবণ, ম্যাগশিয়াম, আয়রণ, পটাশিয়াম, ফসফরাস, জিঙ্ক, হজমে সাহায্য করে, হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় এবং পাকস্থলীর কার্যক্ষমতা বাড়ায়।
মাল্টাতে ক্যালরি কম থাকে। এছাড়া এতে পেকটিন নামের এক ধরনের ফাইবার থাকায় এটি কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে।
মাল্টাতে উপস্থিত লিমিণয়েড, মুখ,ত্বক, ফুসফুস, পাকস্থলী কোমল ও স্তন ক্যান্সারপ্রতিরোধে সহায়তা করে থাকে।
মাল্টা পাকস্থলীকে সুস্থ রাখে। নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস পাকস্থলীর আলসার ও কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে সুরক্ষা দেবে। পাকস্থলীকে রাখবে সবল।
এতে ম্যাগনেসিয়াম থাকার কারণে ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সহায়তা করে। এন্টি অক্সিডেন্ট থাকে বিধায় ওজন কমাতেও সহায়তা করে।
প্রবীণ, গর্ভবতী নারী, মাতৃদুগ্ধদানকারী মহিলাদের নিয়মিত মাল্টা খাওয়া উচিত, কারণ এতে দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়।
মাল্টা ইনফেকশন প্রতিরোধে সহায়তা করে। এটি প্রদাহ জনিত রোগ সারিয়ে তোলে।
সর্দি, নাক বন্ধ থাকা, টনসিলের সমস্যা, গলাব্যথা, জ্বর জ্বর ভাব, হাঁচি-কাশি, মাথাব্যথা, ঠান্ডাজনিত দুর্বলতা-এজাতীয় সমস্যাগুলো দূর করে মাল্টা ।
আরও পড়ুন
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন