ছবি: ইন্টারনেট |
অনেক সময় ঘুমের মাঝে পায়ে হঠাৎ করে টান পরে।তখন খুব ব্যথা হয় পায়ে,নড়ানো যায় না,কিছু করা ্যায় না।এই ধরনের ব্যথাকে সাধারনত পায়ের পেশীতে টান বা leg cramp নামে অভিহিত করা হয়। পায়ের অনৈচ্ছিক পেশির আকস্মিক সংকোচনের ফলে ব্যথা শুরু হয়।
এই ধরনের ব্যথার গভীর বা সুনির্দিষ্ট কোন কারণ নেই। সম্ভাব্য যেসব কারণ চিকিৎসকরা উল্লেখ করেন তার মধ্যে রয়েছেঃ
জীবনযাত্রার ধরনঃ
পায়ের ব্যবহার বেশি হয় এমন খেলাধুলা অতিরিক্ত করা যেমন ফুটবল বা বাস্কেটবল, পায়ের অতিরিক্ত ব্যয়াম করা, দৈনন্দিক শারীরিক পরিশ্রম বেশি করার কারণে এই ধরনের ব্যথার সম্মুখীন হতে পারে।
ঋতু পরিবর্তন:
বিশেষজ্ঞরা বলেন এমন পায়ের ব্যথা গ্রীষ্ম ও শীত কালে বেশী দেখা দেয়। যার কারণ হতে পারে স্নায়ুজনীত সমস্যা, পেশীর সমস্যা নয়। গ্রীষ্মকালে দিন বড় বা রোদ বেশিক্ষন থাকে বলে ভিটামিন ডি’র মাত্রা বেশী হতে পারে। যার কারণে স্নায়ুর বৃদ্ধি ও ক্ষয়পূরণ বেশি সক্রিয় হয়।ভিটামিন ডি’র পরিমাণ শরীরে মাত্রাতিরিক্ত হয়ে গেলে এই প্রক্রিয়া অত্যন্ত দ্রুত হয়, ফলে ব্যথা হতে পারে।
গর্ভাবস্থা:
গর্ভকালীন সময়ে জরায়ুর প্রসারতা বৃদ্ধির ফলে উরুসন্ধিতে যে চাপ পড়ে তার কারণেও “কাফ” এ ব্যথা হতে পারে।
সাধারণত বয়ঃসন্ধিতে পা দেওয়া কিশোর কিশোরীদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়।কারণ তারা অতিরিক্ত খেলাধুলা করায় পায়ের ব্যবহার বেশি হয়। মধ্য বয়সে এই জাতীয় ব্যথার জন্য মূলত পেশীর কম ব্যবহারকে দায়ি করা হয়। এছাড়া যারা অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম বা দৈনিক হাটাহাটি বেশি করেন তারাও এই ব্যথায় ভুগতে পারেন। এছাড়া পঞ্চাশোর্ধ বয়সে এই ব্যথা বার্ধক্যজনিত সমস্যা হিসেবে ধরা হয়।
এই ধরনের ব্যথা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কোন শারীরিক জটিলতা নয়। তাই পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ,পরিমিত পানি পান,দৈনন্দিক অতিরিক্ত শারীরিক কসরত পরিহার করা এবং মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে এই সমস্যা কাটিয়ে উঠা সম্ভব।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন