ছবি: ইন্টারনেট |
আমাদের মধ্যে অনেকেরই মাঝে দেখা যায় একা থাকতে পছন্দ করে।এই একা , নিজের মতো থাকতে থাকতে এক সময় নিজেকে নিয়ে,পারিপার্শ্বিক অবস্থা নিয়ে এক অন্যরকম ভ্রান্ত ধারণা তৈরী হতে থাকে।একটা কাজ কখনো করিনি বা কিছু জায়গা আছে কখনো যাইনি,তাও মনে হবে কাজটা আগে করেছি বা জায়গাগুলো আমার পরিচিত।এই ধরনের লক্ষণ স্কিজোফ্রেনিয়ার সাথে অনেকটা মিলে যায়। এখন এই স্কিজোফ্রেনিয়া কি,কিভাবে হয়,প্রতিকার আছে কি না তা জেনে নেওয়া যাক।
স্কিজো অর্থ স্প্লিট বা বিচ্ছিন্ন এবং ফ্রেনিয়া অর্থ মাইন্ড বা মস্তিষ্ক। যার অর্থ দাড়ায় মস্তিষ্কের বিচ্ছিন্নতা বা বিভক্তি।
সাধারণ অর্থে বলতে গেলে, যখন ব্যক্তির মানসিক ক্রিয়ায় অস্বাভাবিকতা দেখা যায় সেটিকে স্কিজোফ্রেনিয়া বলা যায়। তবে এটি পার্সোন্যলিটি ডিসওর্ডার থেকে সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়৷
এখন আসা যাক ?স্কিজোফ্রেনিয়া কি? অধিকাংশ ক্ষেত্রে একজন ব্যক্তি যখন অবাস্তব কিছু চিন্তা করে এবং সেটিকেই সত্যি বলে মনে করে তার সেই অবস্থাটিকেই "স্কিজোফ্রেনিয়া" রোগ বলা যায়।
এর কিছু লক্ষণ রয়েছে।তবে মূল লক্ষণ হলোঃ
১. "ডিলউশন" বা ভ্রান্ত ধারণা এবং
২. "হ্যালুসিনেশন" ।
ব্যক্তির মধ্যে ডিলিউশন অনেক পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। যেমনঃ সে মনে করতে পারে কেও তাকে বাইরে থেকে কন্ট্রোল করছে কিংবা অদৃশ্যমান কেও তাকে কোনো নির্দেশনা দিচ্ছে৷ এক্ষেত্রে তার বিশ্বাস এতোটা তীব্র হয় যে, উপযুক্ত প্রমাণ দিলেও ব্যক্তিটি বিশ্বাস করতে চায়না৷
ব্যক্তির হ্যালুসিনেশন হতে পারে। যেমনঃ অবাস্তব কোনো চরিত্র কল্পনা করা এবং তার সাথে কথা বলা, বন্ধুত্ব করা। এক্ষেত্রে ব্যক্তি বুঝতে পারেনা ও বিশ্বাস করতে চায় না যে, আসলে তার কাল্পনিক চরিত্রের কেনো বাস্তব অস্তিত্ব নেই।
এছাড়াও, ব্যক্তি অসম্পূর্ণ কথা বলা বা বাক্য সাজিয়ে বলতে না পারার মতো অসুবিধা দেখা দিতে পারে। যুক্তিহীন আচরণ করা। যেমনঃ প্রচুর গরমের দিনে শীতের কাপড় পরিধান করা।এছাড়া যেকোনো কাজে আগ্রহ কমে যাওয়া, কোনো ঘটনায় সঠিক প্রতিক্রিয়া করতে না পারা, কোনো অপ্রত্যাশিত ঘটনাকে দেখলে স্বাভাবিক ভাবে নেওয়া, অনড় অবস্থায় এক জায়গাতেই থাকতে চাওয়া, সবসময় স্বল্প বাক্য বা শুধু হাঁ/না তে উত্তর দেওয়া, স্মরণশক্তি হ্রাস পাওয়া ইত্যাদি ।
এই লক্ষণগুলোর পেছনের নির্দিষ্ট কোনো কারণ এখনও শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
স্কিজোফ্রেনিয়া একটি মানসিক রোগ।তাই এটি অবহেলা করা যাবে না।এর জন্য
১. একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের স্মরণপন্ন হতে হবে।
২. উপযুক্ত থেরাপি এবং মেডিকেশন উভয়ই দীর্ঘ সময় ধরে মেনে চলতে হবে।
৩. পরিবারের সহোযোগিতা ও সহমর্মিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
আরও পড়ুন
সুস্থ থেকেও সারাদিন কেন ঘুম পায়
👍👍👍
উত্তরমুছুনএকটি মন্তব্য পোস্ট করুন